বিষণ্ণতার অজস্র সময়
- মোঃ আরাফাত হোসেন ০৮-০৫-২০২৪

যতবার তোমায় ভাবি
ততবার নিঃসৃত হয় না নিঃশ্বাস!
শিশির ভেজা বিহানে বৃক্ষের ডালে বসে ততবার কূজনেনা পতত্রীরা।
তোমার নামে যতটা শিহরে হৃদয়;
সেই অভিশঙ্কার কাছে পরাভূত হিংস্র দানবের অভিমুখ।

তোমার অভিগাতে চোখের কোটর বেয়ে পড়েছে যতটা অশ্রু;
ঝর্ণার অচেতন ধারায় ঢলেনি ততটা নীর।
দেখেছো কি কখনো মরীচিকা?
স্বচ্ছ জলের মতো দৃশ্যত-
সে মরুর মাঝে তৈরি করে ভ্রম,
যেভাবে তুমি নিরন্তর আমার দুঃস্বপ্নে হও প্রতিহত।

তোমার প্রতিচ্ছবি!
সে এক প্রাণবন্ত বিষাদের মতো,
বেদনার নীল রঙে ছেয়ে দেয় যে আমার সর্বাঙ্গ।
তবু আমি সেই কাঁটাহীন আহত গোলাপ;
যে তোমার জন্য আজো রক্তিম পাপড়িতে স্বযত্নে রেখেছে একরাশ সুললিত সুভাষ।

নিস্তব্ধতায় স্বরচিত তুমি;
তোমার অনুধ্যায়ে কেটেছে যতটা রাত,
তা ছিলো ভূই-তুলসির হাজার বছরের সাধনার চেও দুঃসহ।
আমিই সেই অনুভূতি নিবদ্ধ বালক
যে তোমার অনুষঙ্গ পায় শুধু তার কল্পনায়।

তোমার শ্রীমন্ডিত অনুরঁজন দেখার জন্য যতটা উদ্রি্ত হয়েছি,
দুর্গম সমুদ্রে কখনো তরঙ্গ উৎকলিত হয়নি ততটা।
দিগন্ত চূড়া দেখেছো কখনো?
সেখানে আকাশ গিয়ে মিশেছে ভূপৃষ্ঠের সাথে,
যেভাবে তুমি অনড়ভাবে মিশেছো আমার সম্বেদনে।

তোমার শ্রুতিমধুর কণ্ঠস্বর শ্রবণের জন্য উন্মত্ত হই যতটা;
দ্বিপ্রহরের ঝাঁজাল আলোকের প্রতিবিম্ব ভানে না ততটা।
জ্বলন্ত মোমবাতির আত্মবিসর্জন প্রতক্ষ্য করেছো কখনো?
অন্যকে প্রদীপ্ত করে সে নিজেকে করে দ্রবীভূত;
যেভাবে তোমার প্রণয়ের দহন তীলে তীলে করে চলেছে আমায় অবসন্ন।

নিঃসঙ্গতার উপমান তুমি;
আমার পুরঁজনে তোমার বিহীনতা সৃজন করেছে এক তমসাচ্ছন্ন পরিচ্ছেদ-
যার নাম 'অপূর্ণতা'
সেই পরিচ্ছেদের একএকটি দিবস
একএকটি শতাব্দী এর সমতুল্য।
তুমিই সেই হৃদয়েশ্বরী;
যার সাহচর্যতাই কেবল ঘোচাতে পারে আমার এই তমসাবৃত পরিচ্ছেদ কে।

তোমাকে লিখতে গিয়ে কলম থেকে ঝরেছে যতটা চিত্তক্ষোভ;
বিষণ্ণ মেঘের অশ্রুপাতে তার বেশি ঝরেনি বর্ষণ।
নদীর স্রোত দেখেছো কখনো?
সে প্রবাহিত হয় ছুটে চলা সমীরণের উপনীতির অভিপ্রায়ে,
যেভাবে আমার ধূসর সময়গুলো অতিবাহিত হয় তোমার স্নেহার্দ্রতা পাওয়ার
অজস্র অভিলাষে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।